July 30, 2025, 10:33 pm

বঙ্গবন্ধুর নাম মুছবে না, ‘মিথ্যা ঘোষকের’ ঠিকানা থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

Reporter Name 151 View
Update : Sunday, March 21, 2021

বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার যে চেষ্টা করা হয়েছিল, এখন আর সেই চেষ্টা করে কেউ সফল হতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে জিয়াউর রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, ‘যেখানে ‘মিথ্যা ঘোষক’ হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, আজকে আন্তর্জাতিকভাবে আপনারা দেখেন- সেই ঘোষকের আর কোনও ঠিকানা থাকবে না।’
রবিবার (২১ মার্চ) জাতির পিতার ১০১তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় দেয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, ‘জনগণ আওয়ামী লীগকে ‘ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছিল বলে’ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিক ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠান উদযাপনের সুযোগ হয়েছে। আজকে আর বঙ্গবন্ধুর নাম কেউ মুছতে পারবে না। যেখানে ‘মিথ্যা ঘোষক’ হওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, আজকে আন্তর্জাতিকভাবে আপনারা দেখেন- সেই ঘোষকের আর কোনও ঠিকানা থাকবে না।’

স্বাধীনতার ঘোষণার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘আজকে বিশ্বনেতৃবৃন্দ- তারাই কিন্তু এটা নিজেরা প্রচার করছেন এবং অনেক জায়গায় রেজুলেশনে আনছেন যে, একাত্তরের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুই স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।’

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসসহ বিভিন্ন রাজ্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রস্তাব আনা হয়েছে। নিউ হ্যাম্পশায়ার রাজ্যের প্রতিনিধি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে সর্বোচ্চ সম্মান জানিয়ে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে আনা প্রস্তাবে ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার পরও তখনকার সামরিক সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে অস্বীকার করায় ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে বঙ্গবন্ধু আমাদের যেই স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, অথচ সেই স্বাধীন দেশেই তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। শুধু হত্যা করা না, এই হত্যার পর ইতিহাস থেকে তার নামটা মুছে ফেলার আপ্রাণ চেষ্টা করেছে।’

জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘এখানে স্বাধীনতার ঘোষক দাঁড় করানো হলো, স্বাধীনতার নায়ক বানানো হলো, স্বাধীনতার ইতিহাস পাল্টে দেয়া হলো। এই বাংলাদেশে এমন একটা সময় ছিল, তার (শেখ মুজিব) নামটা পর্যন্ত নেয়া যাবে না, তার নাম নেয়াটাও যেন নিষিদ্ধ ছিল।’

তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর দেশে এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল যে যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছিল, তারা ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছে’ এটা বলার সাহস ছিল না। জাতির পিতাকে হত্যা করে অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা ক্ষমতা দখল করেছিল তাদের চাটুকারিতা যারা করতে পারবো, শুধু তারাই সবকিছুই বলতে পারতো।’

অনুষ্ঠানে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর