ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা, যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানি-ফ্রান্সের উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
দু’দেশের মধ্যে বিরোধ নিরসনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে’র খবরে বলা হয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকা নিয়ে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা চরমে। সীমান্তে প্রচুর সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া।
এমন পরিস্থিতিতে জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। আমি তাঁকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি পূর্ব ইউক্রেনে, যেখানে সংঘর্ষ চলছে। আসুন আমরা আলোচনায় বসি।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের আলোচনাকারীরা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দুই দেশের পরিখা ঘুরে দেখার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছেন বলেও জানান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।
এদিকে ইউক্রেনের অভিযোগ, সীমান্তে বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ইউক্রেনের দাবি সমর্থন করেছে। জার্মানি ও ফ্রান্স বলছে, অবিলম্বে ইউক্রেনের সীমান্ত থেকে রাশিয়াকে সেনা সরিয়ে নিতে হবে।
তবে মস্কোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রশিক্ষণ ও মহড়ার অংশ হিসেবেই সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
পুতিনের উদ্ধৃতি দিয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, লড়াই অনিবার্য হলে প্রথমে আঘাত করা দরকার। কিন্তু সবাইকে বুঝতে হবে, লড়াই কখনও অনিবার্য হয় না। লড়াইয়ে লাখ লাখ মানুষের জীবন বিপন্ন হয়।’
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটের দেশগুলো কৃষ্ণসাগরে উস্কানিমূলক তৎপরতা চালাচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে রাশিয়া।
জেলেনস্কি পূর্ব ইউক্রেনের সংকট নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৯ সালে ক্ষমতায় আসেন। ২০১৪ সালেই ক্রিমিয়া দখল করে রাশিয়া। এরপর থেকেই রাশিয়ার মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীরা পূর্ব ইউক্রেনে লড়াই করছে। গত অর্ধযুগে সেখানে অন্তত ১৩ হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে।