July 31, 2025, 12:46 pm

বেপরোয়া বাল্কহেড চলাচলে ঝুঁকিতে চাঁদপুরবাসী

Reporter Name 170 View
Update : Tuesday, May 4, 2021

নদীপথে বালুবহনের জন্য বিশেষ নৌযান হচ্ছে বাল্কহেড। দেড়শ থেকে দুইশ ফুট লম্বা এবং ত্রিশ থেকে চল্লিশ ফুট চওড়ার প্রতিটি বাল্কহেডে কয়েক লাখ ঘন ফুট বালুবহন করতে সক্ষম। মূলত ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করে এসব বাল্কহেডে তোলা হয়।
পরে এই বাল্কহেডের মাধ্যমে নির্ধারিত গন্তব্যে তা পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে এসব বাল্কহেডের সরকারি কোনো নিবন্ধন নেই। ফলে আনাড়ি চালকদের হাতেই এর মূল চালিকাশক্তি।
এদিকে, চাঁদপুরের পদ্মা ও মেঘনায় নিজেদের খেয়াল খুশি মতো বিপজ্জনক এসব বাল্কহেড চলাচল করায় প্রচন্ড ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে চাঁদপুর শহরের পুরানবাজার থেকে দুর্গম কয়েকটি চর ও পাশের শরীয়তপুর জেলায় চলাচলকারী ইঞ্জিনচালিত শত শত যাত্রীবাহী নৌকা ও ট্রলার।
শুধু তাই নয়, পণ্যবাহী অন্যান্য কোস্টার জাহাজও এমন ঝুঁকিতে রয়েছে। এতে দিনের বেলার চেয়ে রাতের আধারে আরও ঝুঁকিতে পড়তে হয়।
চাঁদপুর সদরের রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হযরত আলী বেপারী জানান, তার এলাকার ৮-১০টি চরের হাজার হাজার মানুষকে নদীপথ ব্যবহার করে চিকিৎসাসহ নানা প্রয়োজনে জেলা শহরে ফিরতে হয়।
কিন্তু বেপরোয়া বাল্কহেডের কারণে মানুষজনকে বহনকারী নৌযানগুলোকে বেশ ঝুঁকি নিয়ে চলতে হয়।
বিআইডবিউটিএ’র উপপরিচালক ও বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল আলম জানান, নদীপথে চলাচলকারী বাল্কহেডের তালিকা তেরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে নিবন্ধনের মাধ্যমে দক্ষ ও বৈধ চালক দিয়েই তা পরিচালনা করা হবে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা অনেকটা হ্রাস পাবে।
চাঁদপুর অঞ্চলের প্রধান নৌ পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান জানান, দুর্ঘটনা এড়াতে রাতের বেলায় বাল্কহেড এবং যাত্রী নিয়ে চলাচলকারী স্পিডবোট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এটি কার্যকর করতে এই অঞ্চলের নৌ পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে কেউ যদি বিধিনিষেধ অমান্য করে, তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর