কারবারিদের কর্মসংস্থানে মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব : র্যাব ডিজি

পাচারকারী ও কারবারিদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করলে মাদক নিয়ন্ত্রণে সফলতা আসবে বলে মনে করেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনি বলেছেন, ‘বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করায় সুন্দরবনের বনদস্যু ও জলদস্যুরা আত্মসমর্পণ করেছে। মাদক পাচারকারীদের জন্য এ ব্যবস্থা করা গেলে সফলতা আসবে।’
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, কক্সবাজার এলাকার বিভিন্ন মাদরাসা, স্কুল ও কলেজের কিছু শিক্ষক মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় এসব ব্যক্তি মাদক কেনাবেচাকে পার্টটাইম ব্যবসা হিসেবে মনে করে। সীমান্ত এলাকায় ইয়াবা প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, মিয়ানমার সীমান্তে ইয়াবা রোধ করা একটু কঠিন হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা সতর্ক রয়েছে।
তিনি বলেন, মাদকসেবীরা প্রথমে শখের বসে মাদক সেবন করে। পরে মাদকাসক্ত হলে চোরাকারবারিরা তাদের খুচরা বিক্রেতা হিসেবে ব্যবহার করে। র্যাবের ডিজি বলেন, শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই নয়, সব শ্রেণির জনগণ স্বোচ্চার হলে মাদক নির্মূল করা সম্ভব হবে।
গত বুধবার (৩ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি। এ দিনের বৈঠকের কার্যবিবরণীতে কক্সবাজারের মাদক ব্যবসার চিত্র তুলে ধরা হয়। এরপর রোববারের (৭ নভেম্বর) বৈঠকে কার্যবিরণীটি অনুমোদন দেয়া হয়। এতে মাদক নির্মূলে এমপি-মন্ত্রীসহ সব শ্রেণির মানুষকে ডোপ টেস্টের আওতায় আনার প্রস্তাব ওঠে। পরে এই প্রস্তাবের আংশিক সুপারিশ আকারে নিয়ে আসা হয়।
জানা গেছে, সংসদীয় কমিটির বুধবারের বৈঠকে মাদক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এতে দুই সচিবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা দেশের মাদক পরিস্থিতি ও মাদক প্রতিরোধে তাদের কার্যক্রম তুলে ধরেন।