July 31, 2025, 1:57 pm

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলে নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি

Reporter Name 350 View
Update : Thursday, December 30, 2021

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে নিয়োগ কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ছয়টি সংগঠন। ছয়টি সংগঠনের নেতাদের দাবি, ক্লার্ক-কাম-টাইপিস্ট পদে অনুষ্ঠিত নিয়োগের ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফল ও বর্তমান নিয়োগ কমিটি বাতিল করতে হবে।

বর্তমান কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন নিয়োগ কমিটি গঠনেরও দাবি তুলেছে সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।

নিয়োগ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া আর সদস্য সচিবের দায়িত্বে নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়েজুল ইসলাম সুমন। তিনি গ্রাউন্ড ওয়াটার বিভাগের প্রধান। ৬ বছর ধরে এই কমিটি নিয়োগ পক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত।

অভিযোগকারী সংগঠন হচ্ছে জাতীয় শ্রমিক লীগের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল শ্রমিক কর্মচারি ইউনিয়ন, পেশাজীবী লীগের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কর্মচারি ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস সহকারি সমিতি, বাংলাদেশ সরকারি গাড়ী চালক সমিতি,বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল মেকানিক ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ ১৬-২০ গ্রেড সরকারি কর্মচারি সমিতি।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান নিয়োগ কমিটি দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ম ও বিভিন্ন সুবিধা নিয়ে যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ দিচ্ছে না। এছাড়াও বিগত নিয়োগগুলোতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের অগ্রাধিকার না দেয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

অভিযোগ সূত্রে আরও জানা গেছে, গত ৩০ অক্টোবর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে ক্লার্ক-কাম-টাইপিষ্ট পদে লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় অধিদপ্তরে জিপিএস-১ প্রকল্পে অফিস সহকারি কাম-কম্পিউটার মাদ্রাক্ষরিক মো. আনোয়ারুল ইসলাম পাশ করেন। কিন্তু ক্লার্ক কাম-টাইপিস্ট পদে এমসিকিউ ও লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও ব্যবহারিক পরীক্ষায় তাকে ফেল করিয়ে দেওয়া হয়। ৩-৪বছর ধরে প্রকল্পের কম্পিউটারে কাজ করে আসছেন আনোয়ারুল ইসলাম। তাই কম্পিউটারে ফেল করার কোনো সুযোগ নেই। একই অভিযোগ করেছেন মনিরুজ্জামান মনির ও ইমরুল কায়েস নামের আরও দু’জন। তাদের দাবি অন্যদের থেকে সুবিধা নিয়ে তাদের ফেল করানো হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পরীক্ষার্থী জানান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় চরম অনিয়ম হয়েছে। যারা পাশ করেছে তাদের অনেকে ঠিকমত কম্পিউটার জানে না। আবার কম্পিউটার জানা অনেকে ফেল করানো হয়েছে। কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা সুশান্ত ও যশোরের বাসিন্দা মোহাম্মদ মিলন নামে দুই জনকে ব্যবহারি পরীক্ষায় পাশ করানো হয়েছে। তারা ঠিক ভাবে কম্পিউটার চালাতে জানেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

খোঁজে নিয়ে আরও জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৭ জুলাই নলকূপ মেকানিক পদের লিখিত পরীক্ষায় পাশ না করে চাকরি হয়েছে একজনের। সেই অভিযোগের বিষয়ে ভুক্তভোগীরা আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া কেন অবৈধ হবে না তা জানতে রুল জারি করে। এখনও এই রুলের জবাব দেননি নিয়োগ কমিটি ।

অভিযোগকারী সংগঠনের নেতারা জানান, বর্তমান নিয়োগ কমিটি দীর্ঘদিন ধরে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেনীর পদে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে অযোগ্য লোকদের চাকরি দিচ্ছে। দ্রুত চলমান ব্যবহারিক পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ নিয়োগ কমিটি গঠন কারার জন্য প্রধান প্রকৌশলীর বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আমরা আন্দোলন যেতে বাধ্য হবো।

এ বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম বলেন, অনেক অভিযোগের কথাই শুনেছি। একাধিক লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। তবে, এ অভিযোগগুলো যাদের বিরুদ্ধে জবাবদিহিও তাদের। তিনি আরও বলেন, শিগগির এ কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।

আবেদনের বিষয়ে উল্লেখিত অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নিয়োগ কমিটিরি চেয়ারম্যান ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শামছুল হক ভুইয়া বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষায় অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। পরীক্ষায় মন্ত্রনালয়ের প্রতিনিধি ছিল ওনারা কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিয়েছে এবং প্রত্যেকে আলাদা আলাদা নাম্বার দিয়েছে। এ পরীক্ষায় কোনো অনিয়ম হয়নি। তবে, কারা কেনো এ অভিযোগ করেছে তা আমার জানা নেই।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর