বিধিনিষেধের তৃতীয় দিনে উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

করোনাভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের তৃতীয় দিন চলছে। মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা থাকলেও অনেকে ক্ষেত্রে তা মানছেন কেউ। কোন কোন গণপরিবহনে সরকারের নির্দেশনা মেনে যাত্রী ওঠানো হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছিল অনিয়ম।
তবে জনসচেতনতা মূলক মাইকিং করছে পরিবহণ কর্তৃপক্ষ। যাত্রীদের মধ্যে মাস্ক পরার প্রবণতা থাকলেও দূরত্ব সহ অন্যান্য নির্দেশনা মেনে চলার আগ্রহ কম। টিকার সনদ রাখার ব্যাপারে মনোযোগী নয় অনেকে।
এদিকে একদিন ছুটির পর, শনিবার সকাল থেকেই হাসপাতালে করোনা টিকাকেন্দ্র গুলোতে টিকা প্রত্যাশীদের ভিড়। একই লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিচ্ছেন প্রথম, দ্বিতীয় ও বুস্টার ডোজের টিকা প্রত্যাশীরা। মাস্ক পরলেও লাইনে নির্দিষ্ট দূরত্ব ছিল না।
গণপরিবহনের মতোই বিধিনিষেধ উপেক্ষিত দেখা যায় রাজধানীর রেস্তোরাঁ, বাজার ও বিপণিবিতানে। রেস্তোরাঁ মালিকরা জানান, খেতে আসা ব্যক্তিদের কাছে টিকা সনদ দেখতে চান না তারা। টিকার সনদ দেখাতে বললে অনেকে বিরক্ত হয়ে না খেয়ে চলে যান।
রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, বাজারে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। বিক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। মানা হচ্ছে না দূরত্ববিধি।
করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত সোমবার কিছু বিধিনিষেধ দেয়। গত বৃহস্পতিবার এ বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে। বিধিনিষেধে মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেতে হলে দেখাতে হবে টিকার সনদ।