তুরাগে ২০টি পরিবারে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়াল নির্মান, থানায় অভিযোগ

রাজধানীর তুরাগের বাউনিয়া বটতলা এলাকায় গভীর রাতে ২০ টি পরিবারে চলাচলের একটি মাত্র রাস্তা বন্ধ করে আটকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নেয়াজ মোরশেদ নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে।
রবিবার গভীর রাতে নেওয়াজ মোরশেদ বেশ কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে চলাচলের একটি মাত্র সড়কে দেয়ালের মধ্যে কাঠ দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করে আটকে দেন। ঘটনার পরপর ভুক্তভোগী পরিবার ঐ রাতেই তুরাগ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে আসেন তুরাগ থানা উপ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আলমগীর। কিন্তু তাকে পড়তে হয় তোপের মুখে, অভিযুক্ত পরিবার পুলিশকে ভেতরে ঢুকতে দেন নি।
ভুক্তভোগীরা জানান, হঠাৎ করে গভীর রাতে তাদেরকে না জানিয়েই পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক নিয়াজ মোর্শেদ চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়ায় সবাই প্রতিবাদে করতে গেলে অকথ্য ভাষায় গালাগাল ও হুমকি ধামকি দেয় নিয়াজ মোর্শেদ ও তার স্ত্রী পারভিন এমনকি মারধরও করা হয় ভুক্তভুগীদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ২০ থেকে ২৫ টি পরিবারের একমাত্র চলাচলের রাস্তাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, ভুক্তভুগী ঘরবন্দী পরিবাররা বাধ্য হয়ে সিভিল এভিয়েশনের একটি বিকল্প রাস্তা ব্যবহার করছে কিন্তু বর্তমানে যে সড়কটি দিয়ে চলাচল করা সম্ভব না কারন সড়কটি খুবই সুরু রাস্তা যেখান দিয়ে একজন মানুষ চলাচল করতেই অনেক কষ্ট হয়।
ভুক্তভুগীদের অভিযোগ যেকোনো মুহূর্তে বিকল্প এই সরু রাস্তাটাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। মাঝে মধ্যে সিভিল এভিয়েশনের কাজের ক্ষেত্রে এটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়, এতে করে দেখা যাচ্ছে, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে বা মারা গেলে তাদের বের করে আনাও সম্ভব না।
রাস্তা কেনো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়াজ মোর্শেদের সাথে কথা বলতে গেলে তাকে পাওয়া যায় নি, পরবর্তীতে নিয়াজ মোর্শেদ এর স্ত্রী পারভিন কে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি এই বিষয়ে কোনো কথা বলতে চান না বলে জানিয়ে দেয়।
এ বিষয়ে তুরাগ থানা উপ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আলমগীর জানান, আমি রাত ২ টা বাজে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই, এবং উভয় পক্ষকে প্রমাণ সহ থানায় আসতে বলি, যদি তারা সমাধানে না আসে, তাহলে তাদেরকে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।