পাকুন্দিয়া আওয়ামী লীগ – বিএনপি ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় উপজেলায় পুলিশ বিএনপি.ও আওয়ামী লীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশ সদস্যসহ প্রায় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়ে দফায় দফায় প্রায় দুই থেকে তিনঘণ্টাব্যাপী চলে। এ সময় রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পৌর সদরের সৈয়দগাঁও এবং পৌর বাজারের টিএনটি সড়ক ও মলংশাহ মাজার এলাকাসহ আশপাশের এলাকা।
পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিন ঢাকা টোয়েন্টিফোর কে জানান কেন্দ্রীয় বিএনপির কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জ্বালানি তেল, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় পুলিশের গুলিতে দুই কর্মী নিহতের প্রতিবাদে পৌর সদর বাজারের পাটমহালে বিক্ষোভ-সমাবেশ করার কথা ছিল।
পরে ১০টার দিকে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মো. জালাল উদ্দিনের নেতৃত্বে অসংখ্য নেতা-কর্মী পাকুন্দিয়া বাজারে আসতে চাইলে সৈয়দগাঁও চৌরাস্তা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ঝড়ায় এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মী পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এইদিকে
এদিকে বেলা ১১টার দিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ভিপি কামাল উদ্দিন ও আতিকুর রহমান মাসুদ এবং এরফান মাস্টারের নেতৃত্বে বিএনপির নেতা কর্মীরা পাকুন্দিয়া বাজারের চরফরাদী রোড দিয়ে একই কর্মসূচিতে আসার পথে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে সংঘর্ষে ঝড়ায়। একপর্যায়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয় ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে।
সাংবাদিকদের কে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আল আমিন হোসাইন সাংবাদিকদের জানান বিএনপির বিক্ষোভ-সমাবেশের কোনো অনুমতি ছিল না। মিছিল নিয়ে আসার পথে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে। সে সময় কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয় । তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছুড়ে। এখন এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজমান আছে। এবং অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য নিয়োজিত আছে এলাকায়