গাজায় খাদ্যসংকট, কিছু স্থানে চলছে ‘দুর্ভিক্ষ’

গাজার কিছু কিছু স্থানে দুর্ভিক্ষ বিরাজ করছে বলে মনে করছেন সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা। বহু স্থানে বাবা-মা সন্তানের ক্ষুধা নিবারণে নিজের খাবারটুকু দিয়ে দিচ্ছেন। একটি আপেলের দাম গিয়ে ঠেকেছে আট ডলারে। রান্নার জন্য জ্বালানিও পাওয়া যাচ্ছে না।
জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থাগুলো বলছে, গাজার জন্য আরও মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। যৌথ বিবৃতিতে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম, ইউনিসেফ এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় সহায়তা পৌঁছানোর নতুন প্রবেশপথ তৈরি করতে হবে এবং প্রতিদিন আরও ট্রাক ঢুকতে দিতে হবে। সহায়তা কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত কর্মী ও সহায়তা নিতে আসা মানুষের নিরাপদ চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।
জাতিসংঘের সংস্থাগুলো সরাসরি ইসরায়েলকে দায়ী করেনি। তবে সীমান্ত পারাপারকে ইসরায়েলি সীমিত করে রাখার কারণে যে সহায়তা নিয়ে যেতে সমস্যা হচ্ছে, সে বিষয়টি তুলে ধরেছে। গাজার চিকিৎসকরা বলেছেন, সেখানে শিশুরা খাবারের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে, হাইপোথার্মিয়াতে মারা যাচ্ছে এবং অনেক নবজাতক মায়ের সঙ্গে অপুষ্টিতে ভুগছে এবং কয়েকদিনের মধ্যে মারাও যাচ্ছে।
ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন বলছে, বহু বাস্তুচ্যুত মানুষের যুদ্ধের তিন মাস পর আর হাতে অর্থ নেই। সাদামাটা রুটি বানানোর জন্য যা লাগে, তা কেনার মতো অর্থও নেই। ২৫ কেজির বস্তার এখন দাম পড়ে ৫০ ডলার, যা যুদ্ধের আগের দামের সঙ্গে তুলনা করলে ছয়গুণ বেশি। লবণের দাম বেড়েছে ১৮০০ শতাংশ। গাছ কেটে যে কাঠ পাওয়া যায়, সেটিই এখন একমাত্র জ্বালানি।
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি স্থল অভিযানে নতুন করে অন্তত ১৩২ জন মারা গেছেন। ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে মোট মারা গেছেন ২৪ হাজার ১০০ জন। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলায় প্রাণ হারিয়েছিল ১ হাজার ১৩৯ জন। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান, আল-জাজিরা