চসিক মেয়রের বাড়িতে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৫

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী বহাদ্দাহাট বড় পুকুরপাড় বাসভবনে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসময় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়েছে পাঁচজন।
শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মিছিল নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় পৌঁছালে এ সংঘর্ষ হয়। আহত পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এসময় ভবনের গেইট ভাংচুর করেছে বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ তাদের প্রতিহত করেছে বলে জানিয়েছেন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা এখন তাদের আন্দোলনে নেই। তাদের সামনে রেখে জামাত শিবির এসব ঘটনা করছে। সরকার বিরোধী এ শক্তিকে আমাদের অবশ্যই প্রতিহত করতে হবে।
চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক গুলিবিদ্ধ পাঁচজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবার রাত ১০টা পর্যন্ত পাঁচ ব্যক্তিকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এর আগে সন্ধ্যায় নিউ মার্কেট থেকে মিছিলের একটি অংশ টাইগারপাস মোড়ে এসে পুলিশ বক্স ভাঙচুর চালায়। পরে নগরের দুই নম্বর গেইট এলাকায় শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বাড়িতে হামলা এবং বহদ্দারহাটে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িতেও হামলা চলানো হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (জনসংযোগ) তারেক আজিজ বলেন, পুলিশ বক্সে আগুন, শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতে ভাংচুর ও দশ আসনের এমপি মহোদয়ের অফিসে ভাংচুর এবং মেয়র মহোদয়ের বাসায় হামলা করা হয়েছে। তবে ভাংচুর ও হামলাকারীদের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে ব্যবস্থা নিব।