গাজী টায়ারসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিখোঁজ ১৮২ জন

গত ৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানায় হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিখোঁজদের সন্ধানে বিক্ষোভ করেছেন স্বজনরা।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য নারী ও শিশুরা নিখোঁজদের ছবি হাতে নিয়ে বেলা ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সড়ক অবরোধ করে রাখেন।
এতে করে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। পরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ইউএনও জাফর সাদিক চৌধুরী ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন। পরে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা বলেন, গত ২৫ আগস্ট রাতে রূপগঞ্জে গাজী টায়ারস কারখানায় হামলা, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনার পর থেকে তাদের পরিবারের সদস্যরা নিখোঁজ রয়েছেন। ৪ মাস হয়ে গেলেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি নিখোঁজ থাকায় তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রশাসনের লোকজন বলছে তারা বেঁচে নেই। কিন্তু তাদের মরদেহ কিংবা দেহাবশেষ কিছুই দিচ্ছে না। আমরা পরিবারের নিখোঁজদের সন্ধান চাই।
একজন স্বজন জানান, নিখোঁজদের মোবাইল ফোন নাম্বারে কল করা হলে তাদের ফোন বাজছে। কিন্তু কেউ কল রিসিভ করছে না। এ বিষয়ে প্রশাসনকে বলার পরেও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, গাজী টায়ার কারখানায় আগুনের ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে আট সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই তদন্ত কমিটি ১৮২ জন নিখোঁজের একটি তালিকা তৈরি করেছে। তাদের ভাগ্যে আসলে কি ঘটেছে সেটা যাচাই-বাছাই করার জন্য পুলিশ সুপারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার বলেন, গাজী টায়ার কারখানায় আগুনের ঘটনায় একটি জিডি দায়ের হয়েছিল এবং জেলা প্রশাসনের একটি তদন্ত কমিটিও প্রতিবেদন দিয়েছে। এ বিষয় নিয়ে আমাদের তদন্ত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ডিএনএ প্রতিবেদনের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।