পূর্বাচলে নারী হোটেল কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল থেকে এক নারী হোটেল কর্মচারীর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের ধারণা, দুর্বৃত্তরা তাকে রাজধানী থেকে পূর্বাচলে এনে হত্যার পর লাশ ফেলে চলে যায়।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে পূর্বাচল উপশহরের ৫ নম্বর সেক্টরের গুতিয়াবো এলাকায় সড়কের পাশ থেকে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত নারীর নাম রানী (২৯)। তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের মো. কাশেমের মেয়ে।
পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল ৮টার দিকে পূর্বাচলে এক নারীর গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
রূপগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার মেহেদী ইসলাম জানান, গতকাল রবিবার দিনগত রাতের কোনো একসময়ে দুর্বৃত্তরা ওই নারীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর লাশ পূর্বাচলের ওই স্থানে ফেলে রেখে গেছে। লাশের কাছাকাছি স্থান থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ উদ্ধারের পর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে আঙুলের ছাপ নিয়ে নিহত নারীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়।
তিনি বলেন, ‘পরিচয় শনাক্তের পর আমরা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা থানায় আসেন। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা হবে। তবে তাকে কারা হত্যা করেছে, তা এখনো জানা যায়নি। পুলিশসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হত্যায় জড়িদের সন্ধানে তদন্ত করছে।’
নিহতের স্বজন ও পরিচিতদের বরাতে ওসি বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের শিকার রানী রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে চাকরি করতেন। দুর্বৃত্তরা তাকে রাজধানী থেকে কৌশলে পূর্বাচলে নিয়ে এসে হত্যা করে।’
এদিকে হত্যায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনাসহ হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়েছেন নিহত রানীর বাবা কাশেম মিয়া।