July 30, 2025, 5:36 pm

ডিএনএ প্রমাণেও সন্তানের পিতা মানছেন না, বিচার দাবি ভুক্তভোগীর

Reporter Name 109 View
Update : Monday, May 26, 2025

রাজধানীর আদাবরের মোকাদ্দেস হানিফ টলিন নামে একজনের বিরুদ্ধে নিজ প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মীর অসহায়ত্ব ও বৈবাহিক সংকটের সুযোগ নিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন এবং পরে গর্ভবতী হওয়ার পর সন্তানকে পিতৃপরিচয় দিচ্ছেন না। ভুক্তভোগী নারী বলেন, তাকে ও তার সন্তানকে গুম ও হত্যাচেষ্টাও করেছেন অভিযুক্ত মোকাদ্দেস হানিফ।

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, তার আড়াই বছরের শিশু জন্ম থেকেই হার্টে ছিদ্র। শিশুটির চিকিৎসার কোনো খরচ দিচ্ছেন না মোকাদ্দেস হানিফ।

রোববার (২৫ মে) রাজধানীর ইস্কাটনে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন মবিনা জান্নাত নামের এক নারী। অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ধর্ষণ মামলায় জামিনে বেরিয়ে ভুক্তভোগী নারীকে নানাভাবে মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন এই নারী।

সংবাদ সম্মেলনে মবিনা জান্নাত অভিযোগ করে বলেন, ২০১৭ সালে পারিবারিকভাবে খোরশেদ আলম রোমেল নামে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে হয় তার। কিন্তু স্বামী রেমেলের হাতে দীর্ঘদিন মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০২০ সালে তালাকপ্রাপ্ত হন তিনি। এরপর চাকরির সুবাদে পরিচয় ঘটে এএনএইচ গ্রুপের এমডি মোকাদ্দেস হানিফের সঙ্গে। হানিফ তার স্বামীর সঙ্গে দূরত্ব ও সংকটের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং পরবর্তী সময় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেন।

তিনি বলেন, ২০২২ সালের এপ্রিলে মবিনা জানতে পারেন তিনি সন্তান সম্ভবা। কিন্তু মোকাদ্দেস হানিফ বিষয়টি গোপন রাখতে বলেন এবং সন্তানের দায় নিতে গড়িমসি করেন। এ অবস্থায় সন্তান জন্ম নিলে সামাজিক স্বীকৃতি ও আইনি নিরাপত্তা পাওয়ার আশায় তিনি ডিএনএ টেস্টের উদ্যোগ নেন। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণিত হয়, মোকাদ্দেস হানিফই তার সন্তানের পিতা। তারপরও হানিফ সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করতে রাজি হননি বরং রাজনৈতিক যোগাযোগ ও ক্ষমতা ব্যবহার করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।

জান্নাত সাংবাদিকদের বলেন, সন্তানের পিতৃপরিচয়ের জন্য লড়াই করছি। অথচ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, প্রাণনাশের হুমকি ও সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে।

ভুক্তভোগী এই নারী আরও বলেন, আমার আড়াই বছরের মেয়েটির জন্ম থেকে হার্টে ছিদ্র। আর্থিক অভাবে তার চিকিৎসা চালাতে পারছি না। জরুরিভিত্তিতে তাকে দেশের বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে। কিন্তু হানিফ তার ক্ষমতা ব্যবহার করে আমাকে হয়রানি করছে। সন্তানের চিকিৎসার জন্য কোনো সহযোগিতা করছে না। বরং সে টাকা-পয়সা খরচ করে আমাকে দেশ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এমনকি মোকাদ্দেসের স্ত্রী ও বোন অতীতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতাসীনদের ব্যবহার করে আমাকে হয়রানি ও হত্যার চেষ্টা করেছে। বর্তমানেও বিভিন্নভাবে আমাকে ও সন্তানকে হয়রানি করে আসছে।

এদিকে, মোকাদ্দেস হানিফ টলিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই সন্তান আমার। তবে অনেক কাহিনী আছে। পরবর্তীতে সমাধান করবো।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর