ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র আতঙ্কে ইসরায়েলি নারী হার্ট অ্যাটাকে নিহত

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের কারমিয়েল শহরে আতঙ্কে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন এক নারী। শুক্রবারের (২০ জুন) এই হামলায় ইসরায়েলে আরও কয়েক ডজন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি সেবা সংস্থা মেগান ডেভিড অ্যাডম।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইসরায়েলের বিভিন্ন প্রান্তে দুই ডজনের বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। এ সময় ইরানি হামলার বিষয়ে সাইরেন বাজিয়ে দেশজুড়ে বাসিন্দাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানার আগ মুহূর্তে সাইরেনের শব্দ শুনে উত্তরাঞ্চলীয় কারমিয়েল শহরের আশ্রয় কেন্দ্রে আতঙ্কিত এক নারী হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।
মেগান ডেভিড অ্যাডম বলেছে, ৫১ বছর বয়সী ওই নারী সাইরেনের শব্দে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় তিনি হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। পরে চিকিৎসকরা চেষ্টা করলেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
ইসরায়েলি এই জরুরি সেবা সংস্থা বলেছে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে হাইফা নগরীতে আরও ২৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। ওই তিনজনের মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোর রয়েছে; যার পুরো শরীরে ক্ষেপণাস্ত্রের ধ্বংসাবশেষের আঘাতে জখম হয়েছে। এছাড়া ৫৪ ও ৪০ বয়সী দুই ব্যক্তি তাদের শরীরের নিচের অংশে গুরুতর জখম হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী বলেছে, নতুন দফার হামলায় ইরান ২৫টির মতো ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ইসরায়েলের দক্ষিণ ও মধ্যাঞ্চলে বেশ কিছু ভবনের ক্ষয়ক্ষতি ও লোকজন আহত হয়েছেন।
তেহরানের এই হামলার পরপরই ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর শহরে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম আইআরআইবির পরিচালিত ইয়াং জার্নালিস্টস ক্লাব এই তথ্য জানিয়েছে।
ইয়াং জার্নালিস্টস ক্লাবের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ ইরানের বুশেহর শহরের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সচল করে ইরানি সামরিক বাহিনী। এই শহরের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে ইসরায়েলি বাহিনী হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, তারা দক্ষিণ-পশ্চিম ইরানে সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা শুরু করেছে।