August 4, 2025, 5:32 am

বাঁচতে চান পরিচালক জাকির খাঁন

Reporter Name 147 View
Update : Saturday, September 14, 2019

নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ :
বাংলা চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ জাকির খাঁন প্রধানমন্ত্রীসহ সমাজের বিত্তশালীদের কাছে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন। জীবনের শেষ সময় অর্থ সংকটে চিকিৎসাপত্র গ্রহণ করতে না পেরে মৃত্যুপথযাত্রী ক্যান্সারে আক্রন্ত এই পরিচালক ও প্রযোজক। ৩৪ বছর কর্মজীবনে অর্জিত সমস্ত সঞ্চয়, ভিটে-মাটি বিক্রি করেও চিকিৎসা ব্যয় সম্পন্ন না হওয়ায় সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন সমাজের বিত্তশালী মানুষদের কাছে।

নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের নিজগ্রামে কথা হয় বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম পরিচালক মোহাম্মদ জাকির খাঁনের সাথে। তিনি জানান, তিনি চলচ্চিত্রের কল্যাণে কাজ করে জীবনের অর্জিত সমস্ত সঞ্চয় ব্যয় করে নিঃস্ব হয়ে গেছেন।

পারিবারিক জীবনে চার কন্যা সন্তানের এই জনক চলচ্চিত্র নির্মানেই জীবনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করেছেন। তিনি মনের অজান্তে, মন চুরি, রাঙামন, চার অক্ষরের ভালবাসাসহ পূর্নাঙ্গ ১১টি চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি নির্মাণাধীন অন্যায়ের প্রতিবাদ, স্বপ্নের মধ্যে তুমি ছাড়াও যৌথ পরিচালনা-প্রযোজনায় নির্মান করেছেন অসংখ্য বাংলা ছায়াছবি।

তিনি বলেন, পৈত্রিক ভিটে-মাটি বিক্রি করেও কোনো উপায় দেখছি না। ইতোমধ্যেই দেশ এবং দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য প্রায় ১৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। চিকিৎসক জানিয়েছেন আরো অন্তত ৬টি ইনজেকশন নিতে হবে। যার মূল্যসহকারে ব্যয় পড়েব সাত লাখ টাকা। কিন্তু আমার কাছে নিজ প্রাণটুকু ব্যতীত আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। সংসার জীবনে চার মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হলেও বিদ্যালয়ে পড়ুয়া আরো দুই কন্যা সন্তান আছে আমার। যদি সমাজের বিত্তশালীদের সহায়তায় সুস্থ্য হয়ে কর্মে ফিরে যাই তবেই তাদের মুখে খানা এবং হাসি ফুটবে। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি থেকে কিছু অর্থ সহায়তা পেয়েছি যা অনেক আগেই ব্যয় করেছি। তাই আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দেশের বিত্তবানদের কাছ থেকে অর্থসহ সার্বিক সহায়তা প্রত্যাশা করছি।

সম্প্রতি তার শরীরে টিস্যু ক্যান্সার ধরা পড়ায় ক্রমেই নিভে যাচ্ছে বাঁচার আশা। চিকিৎসক জানিয়েছেন, এই টিস্যু ক্যান্সার থেকে যথা সময়ে চিকিৎসা নিয়ে বাঁচার সম্ভাবনা রয়েছে। যার দৃষ্টান্ত দেশের খ্যাতনা শিল্পী আলমগীর এবং সাবিনা ইয়াসমিন। তবে এজন্য অতি জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন, যা বাংলা দেশেই সম্ভব।

হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইউসুফ খান পিন্টু বলেন, মানব জীবনে বিনোদনের অন্যতম খোরাক বাংলা চলচ্চিত্র। আর আমাদের হাজীপুরের কৃতি সন্তান প্রায় ৩৪ বছর ধরে চলচ্চিত্রে সময় ব্যয় করে আসছেন। বর্তমানে তিনি যে ক্যান্সারে আক্রান্ত তাতে প্রচুর চিকিৎসা ব্যয়। ইউনিয়ন পর্যায় থেকে সরকারি কোনো অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা না থাকলেও ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ভাবে তার জন্য কিছু করার ইচ্ছা রয়েছে। তবে বাকী চিকিৎসা ব্যয়ের জন্য এককভাবে নয় সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ দেশ ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে সহযোগিতার আবেদন জানাই।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর