September 14, 2025, 10:14 pm

লালমনিরহাটে প্রতিবন্ধি শিশুকে বলাৎকারের অভিযোগ

Reporter Name 111 View
Update : Saturday, November 23, 2019

লালমনিরহাটে প্রতিবন্ধি এক শিশুকে (৯) বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে মোবারক আলী (৬০) নামে এক প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। হাসপাতালে যেতে বাধা দেয়ায় ভ্যানচালক বাবা বাড়িতে রেখেই ছেলের মৃত্যুর প্রহর গুনছেন।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সিন্দুরীয়া ওজাটারীতে নিজ বাড়িতে বিছানায় শিশুটিকে ছটফট করছে।

এর আগে বুধবার (২০নভেম্বর) বিকেলে কাজ দেয়ার কথা বলে পার্শ্ববর্তী কোটেশ্বর বিলে নিয়ে গিয়ে মুখ চেপে শিশুটিকে বলৎকার করে মোবারক আলী।

ব্যবসায়ী মোবারক আলী পার্শ্ববর্তী গ্রামে কুড়িগ্রামের বাজারহাট উপজেলার গড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের ভীমশর্মা গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয়রা ও শিশুটির পরিবার জানান, ব্যবসায়ী মোবারক আলীর স্ত্রী দুই বছর আগে মারা যান। এরপর থেকে গ্রামের বিভিন্ন জনের শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটাচ্ছে এবং টাকার বিনিময়ে সব ধামাচাপা দিচ্ছেন। বুধবার(২০ নভেম্বর) বিকেলে ক্ষেতের আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ দেয়ার কথা বলে পাশে ওজাটারী গ্রামের ভ্যানচালকের বাক প্রতিবন্ধি শিশুকে কোটেশ্বর বিলে ডেকে নেয় মোবারক। এ সময় কেউ না থাকায় ওই শিশুর মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক বলাৎকার করে ব্যবসায়ী মোবারক আলী। স্থানীয় এক কৃষক বিষয়টি দেখে ফেললে তাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে। পরে ওই কৃষক শিশুটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেন। শিশুটি অসুস্থতা অনুভব করলে বিষয়টি বাড়িতে জানাজানি হয়।

শিশুকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলে মোবারক আলী লোকজন পাঠিয়ে পথিমধ্যে ফিরিয়ে দেন এবং রাতেই বৈঠকে মিমাংসা করার প্রস্তাব দেন। এ দিকে বৃহস্পতিবার দিনভর শিশুটি পায়খানা করতে না পেয়ে মরণ যন্ত্রণায় ছটফট করলেও তাকে হাসপাতালে নিতে দেয়া হয়নি বলে শিশুটির পরিবার দাবি করেন। ভ্যানচালক বাবা প্রতিবন্ধি ছেলেকে নিয়ে পড়েছেন বড় বিপাকে।

শিশুটির বাবা বলেন, মোবারক এলাকার সব থেকে টাকাওয়ালা লোক। তার কথা সবাই শুনে। তার শ্যালক কালাম লালমনিরহাট থানায় পুলিশ কনস্টবল হিসেবে চাকুরী করে। মামলা করেও কোনো ফল হবে না। আমরা গরীব মানুষ। আল্লাহ ওদের বিচার করবে।

তবে অভিযুক্ত ব্যবসায়ী মোবারক আলী বলৎকারের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, বলাৎকার নয়, ছেলেটা আমার সাথে বিলে গিয়েছিল। সেখানে রেখে আমি বাড়ি এসেছি। তবুও গ্রামে কয়েকজন নিয়ে রাতে বৈঠকে বসে বিষয়টা মিমাংসা করা হবে।

লালমনিরহাট সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ দেয়া হয়নি। তবে খোঁজ নিয়ে ওই অসুস্থ ছেলেটাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হবে।

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার এসএম রশিদুল হক পিপিএম সেবা বলেন, অপরাধীদের সাথে সখ্যতা থাকলে অবশ্যই ওই কনস্টবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর