August 7, 2025, 12:45 am

যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক

Reporter Name 155 View
Update : Monday, July 13, 2020
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। ফাইল ছবি- যুগান্তর

নিউজ ডেস্ক:
বিশিষ্ট শিল্পপতি যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে (সাবেক অ্যাপোলো) তিনি সোমবার বিকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

তার মৃত্যুতে দেশের শিল্প খাতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বড় অসময় চলে গেলেন তিনি। করোনার সংকট কাটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আধুনিক বাংলাদেশ বিনির্মাণে তার মতো উদ্যোক্তার খুবই দরকার ছিল। এ সময় তার চলে যাওয়া দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

নুরুল ইসলাম ১৯৪৬ সালের ৩ মে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জে। ১৯৭১ সালে পাক হানাদার বাহিনীর নাগপাশ থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। স্বাধীন বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার মানসে ১৯৭৪ সালে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন।

গণমানুষের সুবিধা-অসুবিধা, বঞ্চনা ও অধিকারের বিষয় তুলে ধরতে তিনি দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এটি প্রথম প্রকাশিত হয়। সত্যের সন্ধানে নির্ভীক স্লোগান নিয়ে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ পর্যন্ত স্বাধীন সাংবাদিকতার চর্চা করে এসেছে পত্রিকাটি। গণমাধ্যমে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার মানসে তিনি চালু করেন যমুনা টেলিভিশন। তার অনুপ্রেরণায় ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার কারণে অল্পদিনেই দেশের শীর্ষ টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবে জায়গা করে নেয় যমুনা টেলিভিশন।

নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে একজন নির্ভীক ও দায়িত্বশীল অভিভাবক হারাল প্রতিষ্ঠান দুটির সহস্রাধিক কর্মী ও যমুনা গ্রুপের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক কর্মী।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর