আরও ৩৯ জনের মৃত্যু, নতুন আক্রান্ত ২৯৭৭

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট:
মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায়ও নতুন করে আরও ২ হাজার ৯৭৭ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। এইসময়ে মধ্যে সারা দেশে কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৪৯ হাজার ৬৫১ জন হয়েছে এবং মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৩০৬ জনে দাঁড়িয়েছে।
২৪ ঘণ্টায় মোট পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ ও এই সময়ের মধ্যে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩২ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩২ জন এবং নারী ৭ জন। এ পর্যন্ত যারা কোভিড আক্রান্ত মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ২ হাজার ৬০৬ জন, ৭৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং নারী ৭০০ জন, ২১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানান জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) পরিচালক ডা. বায়েজিদ খুরশিদ রিয়াজ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৩ হাজার ১৮৯টি। পরীক্ষা হয়েছে পূর্বের নমুনাসহ ১২ হাজার ৭০৮টি। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১২ লাখ ২৫ হাজার ১২৪টি নমুনা।
কোভিড-১৯ আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭৪ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৮২৪ জন। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৫৭ দশমিক ৬১ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৯ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৩ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ৭ জন ও বাকিরা বিভিন্ন বয়সী রয়েছেন।
এ পর্যন্ত বয়সভিত্তিক মৃত্যুর হার ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সী ২১৪ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪৫৮ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৯৪৭ জন, ষাটোর্ধ্ব ১ হাজার ৫৪৯ জন এবং বাকিরা বিভিন্ন বয়সের রয়েছেন।
যে ৩৯ জন গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৭ জন, রংপুর বিভাগে ৩ জন, খুলনা বিভাগে ৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩ জন, বরিশাল বিভাগে ২ জন, সিলেট বিভাগে ২ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জন করে। তাদের মধ্যে হাসপাতালে মারা গেছেন ৪১ জন, বাড়িতে ৭ জন।’
এ পর্যন্ত বিভাগভিত্তিক মৃত্যুর সংখ্যা ও শতকরা হারে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৫৮৪ জন, চট্টগ্রামে ৭৯১ জন, রাজশাহী ২০২ জন, খুলনা ২৪২ জন, বরিশাল ১৩০ জন, সিলেটে ১৫৬ জন, রংপুরে ১৩০ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৭১ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৯ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে হাসপাতালে মৃত্যৃবরণ করেছেন ৩০ জন এবং বাড়িতে ৯ জন।