August 4, 2025, 7:23 pm

নির্বাচনে প্রযুক্তির ব্যবহার ও ই-ভোটিংয়ের প্রস্তাব

ডেস্ক রিপোর্ট- 287 View
Update : Thursday, January 13, 2022

নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে চলমান সংলাপের ১৬তম দিনে আজ বৃহস্পতিবার পৃথকভাবে আলোচনায় অংশ নিয়েছে জাকের পার্টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ও বাংলাদশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)।

বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় রাজনৈতিক দলের নেতারা নিজ নিজ দলের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দেন। বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান।

দলগুলো সময়োপযোগী নির্বাচনী আইন প্রণয়ন, সেটা সম্ভব না হলে একটি অধ্যাদেশ জারি কিংবা অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা, নির্বাচনে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ও ই-ভোটিং পদ্ধতি প্রয়োগসহ রাষ্ট্রপতিকে বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়।

প্রথমে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয় জাকের পার্টি। সন্ধ্যায় বঙ্গভবনের দরবার হলে অনুষ্ঠিত আলোচনায় ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন দলের চেয়ারম্যান মোস্তফা আমীর ফয়সল। তারা নির্বাচনী আইন প্রণয়নসহ চার দফা প্রস্তাব পেশ করেন। জাকের পার্টি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্লকচেইন পদ্ধতি ও ই-ভোটিং পদ্ধতি প্রয়োগের প্রস্তাব করেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, এর মাধ্যমে ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ঘরে বসেই ভোট দিতে পারবেন এবং এতে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। তারা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর স্বঘোষিত ও আত্মস্বীকৃত ভোটারদের ডাটাবেজ তৈরি ও প্রকাশের প্রস্তাব করেন। দলটি নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।

এরপর বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল আলোচনায় অংশ নেয়। তারা নির্বাচনী আইন প্রণয়ন সম্ভব না হলে অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেন। তারা সংবিধানের ১২৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা এবং নির্বাচন কমিশন ও সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা বলেন।

বৈঠকের পর রাষ্ট্রপতির প্রেসসচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, রাষ্ট্রপতি প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রে নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও সুপারিশ ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখবে। গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য রাজনীতিতে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোকেই উদ্যোগী হতে হবে। এ ছাড়া ত্যাগী ও সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের জনপ্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত হতে পারে সে জন্য জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর