August 11, 2025, 11:31 pm

আধুনিকের সঙ্গে সনাতনী ওষুধের প্রয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক: 156 View
Update : Tuesday, April 19, 2022

সবার জন্য মৌলিক চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে আধুনিক ওষুধের পাশাপাশি ট্রাডিশনাল ওষুধ ব্যবহারে গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্রাডিশনাল মেডিসিন (জিসিটিএম)-এর ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।

গ্লোবাল সেন্টারটি যৌথভাবে ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস গেব্রেইয়েসাস।

ভারতের গুজরাটে প্রথমবারের মতো এ ধরনের জিসিটিএম উদ্বোধন হলো। এর মধ্য দিয়ে সনাতনী ওষুধের সঙ্গে প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটিয়ে প্রমাণনির্ভর গবেষণার মাধ্যমে সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি করতে চায় দেশটি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আধুনিক ওষুধের সঙ্গে সনাতনী ওষুধ ব্যবহার করা হলে আমরা এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ৩-এ উল্লিখিত সবার জন্য মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে আরও ভাল ফল আশা করতে পারি।’

ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ও কারিকুলাম উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুগুলোর বিষয়েও গ্লোবাল সেন্টারের সঙ্গে অংশীদারত্বে আগ্রহ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক স্বার্থেই আমরা যৌথ মেডিক্যাল গবেষণা প্রকল্পের বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করব। আশা করি এ প্রতিষ্ঠান সনাতনী ওষুধের জন্য প্রমাণভিত্তিক গবেষণা ও গুণগত মানের একটি বৈশ্বিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।

‘সেন্টারটির কৌশলগত দিক থেকে টেকসই, ন্যায্যতা ও উদ্ভাবনের ওপর গুরুত্ব দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করি।’

সনাতনী ওষুধ সব সময়ই বাংলাদেশের ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের অংশ হয়ে আছে বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার ২০১১ সালে জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে সনাতনী ওষুধকে সন্নিবেশিত করেছে। আমরা এসডিজি-৩ অভীষ্ট অর্জনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইউনানি, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ সেবার সম্ভাবনা ও অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী এই গ্লোবাল সেন্টার ফর ট্রেডিশনাল মেডিসিন উদ্বোধনের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালককে অভিনন্দন জানান।

তিনি বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারি সুস্বাস্থ্য ও মানব কল্যাণ নিশ্চিতে সনাতনী চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।’

ভারতে কোভিড-১৯ মহামারি নিয়ন্ত্রণ ও ব্যাপক টিকাদানের জন্য নরেন্দ্র মোদির গতিশীল নেতৃত্বে ভারত সরকারের প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশও সফলভাবে এই মহামারি নিয়ন্ত্রণ করেছে এবং দেশের শতভাগ মানুষকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন দিয়েছে। দেশের ৯৭ শতাংশ মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে।’

মহামারিকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী বিনিময় ‘ভাল প্রতিবেশীসুলভ আচরণ’ ও কূটনীতির রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘গোটা বিশ্ব দেখেছে কিভাবে ওই সংকটের সময়ে দুই প্রতিবেশী পরস্পরকে সহায়তা এবং একসঙ্গে কাজ করেছে।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর