তুরাগের বাউনিয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক, বিয়ে না করায় তরুণীর আত্মহত্যা

তুরাগের বাউনিয়া মাদবর বাড়ি এলাকায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করায় এবং বিয়ে না করায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা(২৫)।
বাউনিয়ার মাদবর বাড়ি মৈশার্টেক এলাকায় আব্দুল জলিলের বাড়ির নিচ তলায় মৃত তাহমিনা কে বোন পরিচয় দিয়ে একই রুমে বসবাস করতেন উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ওয়াসিমুজ্জামান (২৯)।
পরবর্তীতে বিয়ে না করায় ২৫ ই ডিসেম্বর আনুমানিক রাত ১০:৩০ ঘটিকায় নিজ শয়ন কক্ষে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তাহমিনা।
এ ঘটনায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার অপরাধে ওয়াসিমুজ্জামান কে গ্রেফতার করেন তুরাগ থানা পুলিশ এবং ভুক্তভুগী তাহমিনার বোন রুমানা আক্তার নিজে বাদি হয়ে তুরাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং ৩২।
মামলায় উল্লেখ্য যে, আসামি ওয়াসিমুজ্জামাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভুগী তাহমিনার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করতো। তাহমিনা বিয়ের কথা বললেই ওয়াসিমূজ্জামান তাহমিনাকে মারধর ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো। ঘটনার দিনও তাহমিনা ওয়াসিমুজ্জামান কে বিয়ে করার কথা বললে মারধর করেন। পরে রাতে নিজ কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গলায় ওড়না দিয়ে আত্মহত্যা করেন।