কৃষি খাত সংস্কারে কমিশন গঠন করা প্রয়োজন: মঈন খান

অন্তর্বর্তী সরকার সবকিছু সংস্কার করতে চায় কিন্তু কৃষি খাতের সংস্কারের কথা বলেনি, এমন মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
তিনি বলেন, ‘কৃষি খাতে সংস্কারের জন্য কমিশন গঠন করা প্রয়োজন তবে তা এখনই করতে হবে এমন নয়। ভবিষ্যতে কৃষি কোন পথে যাবে, সেই বিবেচনা করতে হবে। কৃষি খাতের ইতিহাস থেকে নতুন প্রজন্মকে কিছু শিক্ষা নিতে হবে। কৃষি খাতের যুগান্তকারী পরিবর্তন এনেছিলেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।’
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘খাদ্য অধিকার নিশ্চিতকরণ: শহিদ জিয়ার দর্শন ও অবদান’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আয়োজক সংগঠন এগ্রিকালচারিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এ্যাব) এর আহ্বায়ক কৃষিবিদ রাশিদুল হাসান হারুনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন, গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম প্রমুখ।
আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘একটি দেশ যখন উন্নতির দিকে ধাবিত হয় তখন কৃষি খাত থেকে জিডিপি কমে যায়। এটা স্বাভাবিক। বর্তমানে দুই-তৃতীয়াংশ থেকে সম্ভবত কৃষি খাত এক-তৃতীয়াংশে দাঁড়িয়েছে। তার মানে এই নয় যে কৃষির গুরুত্ব কমে গেছে। দেশ যত উন্নত হবে সার্ভিস সেক্টর থেকে তত বেশি অবদান রাখবে।’
তিনি বলেন, ‘আমেরিকা কৃষি খাতকে আধুনিকায়ন করেছে। তাদের সহায়তায় ১৯৯৩ সালে বেগম খালেদা জিয়া প্রথম ন্যাশনাল এগ্রিকালচার টেকনোলজি প্রোগ্রাম (এনএটিপি) চালু করেন। বিদেশে খাদ্যদ্রব্য পাঠানোর প্রথম ভিত্তি রচনা করে এনএটিপি প্রকল্প। বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে এনএটিপির অবদান অস্বীকার করা যাবে না।’