চাঁদপুর লঞ্চঘাটে ৩ মালিকের দৌরাত্ম্য

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) নির্দেশনা অমান্য করে নির্ধারিত সময়ে চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে লঞ্চ না ছেড়ে বছর জুড়ে দৌরাত্ম্য সৃষ্টি করার অভিযোগ ওঠেছে তিন লঞ্চ মালিকের বিরুদ্ধে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাব খাটিয়ে তারা নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অন্যান্য লঞ্চ মালিকরা।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকালে চাঁদপুর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক বশির আলী খানের নির্দেশে ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মাহাতাব অভিযুক্ত যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি রায়হান, রহমত ও জামাল-৮ কে প্রতিদিন চাঁদপুর থেকে সকাল ১১টা ৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
এ সময় লঞ্চ রায়হানের কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে আধা ঘণ্টা দেরিতে লঞ্চ ছাড়ার চেষ্টা করে। যার ফলে লঞ্চঘাটের অন্যান্য লঞ্চের সুপারভাইজার ও কর্তৃপক্ষের সাথে রায়হান লঞ্চের লোকজনের হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চিঠির আলোকে জানা গেছে, ঢাকা থেকে যেসকল লঞ্চ রাত সাড়ে ১২টায় ছাড়বে। সেসব লঞ্চ চাঁদপুর থেকে সকাল ১১টা ৫ মিনিটে ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।
চাঁদপুর লঞ্চঘাটের মালিক প্রতিনিধিরা জানায়, ঢাকার মালিকানাধীন এমভি রায়হান, রহমত ও জামাল-৮ লঞ্চের কর্তৃপক্ষ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘ এক বছর যাবত অনিয়মের মধ্য দিয়ে আধা ঘন্টা দেরিতে টার্মিনাল থেকে তাদের লঞ্চ ছেড়েছে। তাদের এই অনিয়মের প্রতিবাদ করেও কোনো কাজ হয়নি। বরং তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই সন্ত্রাসী বাহিনীর হুমকি আসতো।
এদিকে অনিয়ম ও দৌরাত্ম্য বন্ধে উদ্যোগ নেয় চাঁদপুর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক। তার নির্দেশে সঠিক সময়ে লঞ্চগুলো ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করেন বিআইডব্লিউটি এর ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মাহাতাব।
চাঁদপুর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপপরিচালক বশির আলী খান জানান, ‘পূর্বের যত অনিয়ম হয়েছে তা এখন আর হবে না। নির্ধারিত সময়ে লঞ্চ ছাড়তে হবে। যারা সরকারের নিয়ম-নীতি উপেক্ষা করে দেরিতে লঞ্চ ছাড়বে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’