বাড্ডায় মুখোশধারীদের গুলিতে বিএনপি নেতা নিহত

রাজধানীর মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট এলাকায় মুখোশধারী সন্ত্রাসীদের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধন নিহত হয়েছেন।
রবিবার (২৫ মে) দিনগত রাতে গুদারাঘাটে সাবেক কাইয়ুম কমিশনারের বাসার কাছে এ ঘটনা ঘটে।
গুরুতর আহত অবস্থায় কামরুল আহসানকে জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গুলশান ও বাড্ডা থানা পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য বিএনপি নেতা কামরুল আহসান সাধনের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বাড্ডা থানার ওসি।
নিহতের ভাগ্নি জামাই ইসমাইল হোসেন জানান, গুদারাঘাট ৪ নম্বর রোডের সাবেক কমিশনার কাইয়ুমের কার্যালয়ের বিপরীতে চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধন। সেখানে কামরুলসহ আরও কয়েকজনসহ বসা ছিলেন। এর মাঝে হঠাৎ করে দুজন এসে এলোপাতাড়ি শ্যুট করে। দুজনই ছিলেন মাস্ক পড়া। গুলিতে কামরুল আহসান ঘটনাস্থলেই পরে যান। এরপর ফাঁকা গুলি করতে করতে করতে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাস্থল থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাধনকে উদ্ধার করে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তার বুকের ডানে-বামে, পিঠে, ও ঘাড়ে গুলি লেগেছে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, রাতে মধ্যবাড্ডার গুদারাঘাটের ৪ নম্বর গলিতে সাধন নামে ওই ব্যক্তিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে লোকজন উদ্ধার করে হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান। নিহত সাধন গুলশান বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক। তিনি পেশায় ডিশ ব্যবসায়ী ছিলেন।