September 13, 2025, 10:18 pm

২০১৯ বিশ্বকাপ খেলার আশা নেই মালিঙ্গার

Reporter Name 142 View
Update : Sunday, October 14, 2018

২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর থেকেই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলে চলছে অদল-বদলের হাওয়া। কুমার সাঙ্গাকারা, মাহেলা জয়াবর্ধনেরা অবসর নেয়ার পর দিকভ্রান্ত হয়ে পড়েছে ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপজয়ীরা। ২০১৯ সালের আসন্ন বিশ্বকাপের দল গোছাতে হিমসিম খেতে হচ্ছে বারবার।

গত তিন বছরে লঙ্কান ক্রিকেট দলের এ ওঠানামার প্রত্যক্ষদর্শী লাসিথ মালিঙ্গা। কেননা কখনো বয়সের ভার বার কখনো ফর্মের অজুহাতে তাকেও কয়েক দফায় বাদ পড়তে হয়েছে দল থেকে। তবু বারবার ফিরেছেন তিনি, কাঁপিয়েছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের বুক।

যার সবশেষ উদাহরণ তিনি দেখিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। দল হেরে গেলেও বল হাতে উজ্জ্বল ছিলেন মালিঙ্গা। ৩৫ বছর পেরিয়ে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের অষ্টমবারের মতো ম্যাচে পাঁচ উইকেট। ১০ ওভারের স্পেলে মাত্র ৪৪ রান খরচায় ৫ উইকেট নিলেও ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে খেলার আশা দেখেন না ডানহাতি এ পেসার।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মালিঙ্গা জানান ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য সে বিশ্বকাপে খেলতে পারলে তা হবে তার ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া নানান ঘটনার কারণে এ ব্যাপারে আশাবাদী হতে পারছেন না তিনি।

মালিঙ্গা বলেন, ‘আমি জানি আমি যদি সুযোগ পাই তাহলে অবশ্যই বিশ্বকাপ খেলব। এটিই আমার শেষ বিশ্বকাপ হবে বুঝতে পারছি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে আমার সাথে যা যা ঘটেছে এরপরে আমি বিশ্বকাপ খেলার আশা রাখছি না। তবে আমাকে সুযোগ দেয়া হলে আমি অবশ্যই খেলবো।’

মালিঙ্গার সাথে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের মনমালিন্যের প্রধান কারণ ঝাঁকড়া চুলের এ বোলারের অতিরিক্ত ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়ানো। এমনকি চলতি বছরে দেশের ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেট বাদ দিয়ে তিনি পালন করেছিলেন আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মেন্টরের দায়িত্ব।

এ কাজ করায় শ্রীলঙ্কান বোর্ডের নিয়ম মোতাবেক এ বছর আর ওয়ানডে দলে সুযোগ পাওয়ার পথ ছিলো না মালিঙ্গা। তবু বিশ্বকাপে তাকে বড্ড প্রয়োজন বলেই সুযোগ দেয় দেশের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি পারফর্ম করে নিজেকে প্রমাণ করার। সুযোগটি লুফে নেন মালিঙ্গা। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেন তিনি।

নির্বাচকরা তাকে এ সুযোগটি করে দেয়ায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন মালিঙ্গা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচকেরাই আমাকে সুযোগটি করে দিয়েছিল। আমি শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড়। আমার কাজ হলো যখনই সুযোগ পাবো খেলতে নেমে যাবো। আমি দলের বাইরে যখন ছিলাম তখন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি খেলেছি। দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছে। সে টুর্নামেন্টের পারফরম্যান্স আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছে। কারণ আমি এখন আমার ক্যারিয়ারের শেষ দিকে চলে এসেছি। এখন আমার পারফর্ম করতে অনুপ্রেরণা দরকার।’


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর