December 1, 2025, 9:01 am

পায়রা বন্দর : মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে পরামর্শক নিয়োগে চুক্তি

Reporter Name 261 View
Update : Thursday, February 14, 2019

নিউজ ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯:
পায়রা বন্দরের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা (ডিটেইল মাস্টার প্ল্যান) প্রণয়নের জন্য পরামর্শক নিয়োগে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বদ্যিালয়ের (বুয়েট) গবেষণা, পরীক্ষা এবং পরামর্শক ব্যুরো (বিআরটিসি) ও নেদারল্যান্ডের রয়েল হাসকনিং ডিএইচভি’র এ চুক্তি হয়।

পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম এবং বুয়েটের বিআরটিসির পরিচালক অধ্যাপক মো. শামসুল হক এবং রয়েল হাসকনিংয়ের স্ট্র্যাটেজিক বিজনেস ডিরেক্টর এরিক স্মিট চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় নৌ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুস সামাদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারউইজ উপস্থিত ছিলেন।

চুক্তি অনুযাযী, ডিটেইল মাস্টার প্ল্যানসহ অন্যান্য রিপোর্ট প্রণয়নে ১৮ মাস সময় লাগবে। এজন্য ব্যয় হবে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। এ কাজে বুয়েটের ২৯ জন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক এবং রয়েল হাসকনিং ডিএইচভি’র ৬১ জন বিশেষজ্ঞ অংশগ্রহণ করবেন। পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ২৪টি ডেলিভারেবলস রিপোর্ট (সমীক্ষা এবং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রোফর্মা) প্রণয়ন করবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাস্টার প্ল্যান প্রণীত হলে বন্দরের অধিগ্রহণের জন্য নির্ধারিত প্রায় ৬ হাজার ৫০০ একর জমিতে টপোগ্রাফি ও অন্যান্য সার্ভের মাধ্যমে ভূমি ব্যবহারের পরিকল্পনাসহ টার্মিনাল ও সব স্থাপনার অবস্থান সেখানে চিহ্নিত হবে। ফলে পায়রা বন্দরের উন্নয়নের জন্য গৃহীত মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা মাস্টারপ্ল্যান রিপোর্টের ভিত্তিতে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।

নৌ সচিব পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দু’টির উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা গ্রিন ফিল্ড পোর্ট করার পরিকল্পনা দিন। আমরা দ্রুত মাস্টার প্ল্যানটি চাই যাতে এটি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারি।’

পায়রা বন্দর নিয়ে মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই, পরিবেশ ও সামাজিক ক্ষেত্রে প্রভাব নিরূপণ, ক্রয় পরিকল্পনা ও ক্রয় প্রস্তাব প্রণয়নসহ গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টগুলো বুয়েটের বিআরটিসির নেতৃত্বে রয়েল হাসকনিং ডিএইচবি’র সহায়তায় প্রণয়ন করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

এছাড়া পরামর্শ কাজের শুরুতে একবার এবং রিপোর্ট চূড়ান্ত করার আগে আরও একবার সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের মতামত নেয়া হবে। পোর্ট অপারেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান এবং কৌশলগত ট্যারিফ প্ল্যান প্রণয়ন এবং গভীর সমুদ্র বন্দরে রূপান্তরের সম্ভাব্যতা যাচাই প্রতিবেদনও পাওয়া যাবে এই চুক্তির আওতায়।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর