December 1, 2025, 1:08 pm

আকস্মিক বন্যার সতর্কবার্তা

Reporter Name 178 View
Update : Friday, May 3, 2019

নিউজ ডেস্ক | শুক্রবার, ৩ মে ২০১৮:
ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে বলে জানা গেছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপ্রকৃতি বিবেচনা করে শুক্রবার আবহাওয়া অফিসের এক বিশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল, উত্তরাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতীয় অঞ্চলসমূহের কতিপয় স্থানে আগামী ৭২ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হতে পারে। এর প্রভাবে ওই অঞ্চলগুলোর প্রধান নদীগুলো, বিশেষ করে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, সুরমা, কুশিয়ারা, কংস, যাদুকাটা, তিস্তা নদীর পানির পৃষ্ঠ আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে। কোথাও কোথাও বিপদসীমা অতিক্রম করে আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে শুক্রবার সকালে ভারতের ওড়িশা উপকূল অতিক্রম করার পর অগ্রসর হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে।

আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, কিছুটা দুর্বল হয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারে ফণী। পরে বৃষ্টি ঝরিয়ে খুলনা, রাজশাহী, রংপুর ও বৃহত্তর ময়মনসিংহের ওপর দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করে পৌঁছাতে পারে ভারতের মেঘালয়ে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বিশেষ বার্তায় বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আবহাওয়া অফিস মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে। আর কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর