December 1, 2025, 1:01 pm

পাটকল শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধে ১৬৯ কোটি টাকা

Reporter Name 170 View
Update : Tuesday, May 28, 2019

নিউজ ডেস্ক | মঙ্গলবার,২৮ মে ২০১৯:
কিছু দিন ধরেই বকেয়া বেতন, মজুরি ও উৎসব ভাতার দাবিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাটকল শ্রমিকরা আন্দোলন করে আসছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই শ্রমিকদের জন্য জরুরি বিবেচনায় ১৬৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দিল সরকার। গতকাল সোমবার এ বরাদ্দ দেওয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (পাট) প্রদীপ কুমার সাহা স্বাক্ষরিত বরাদ্দের চিঠিতে ছয় দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে চেকের মাধ্যমে দিতে হবে বলেও শর্তারোপ করা হয়েছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আপদকালীন জরুরি বিবেচনা এবং আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শ্রমিকদের বকেয়াসহ মজুরি ও উৎসব ভাতা পরিশোধের জন্যই এ বরাদ্দ।

চিঠিতে বলা হয়, বরাদ্দ দেওয়া অর্থ বিজেএমসির (বাংলাদেশ জুটমিল করপোরেশন) কারখানাগুলোর জন্য যে খাতে দেওয়া হয়েছে, এর বাইরে অন্য কোনো খাতে দেওয়া যাবে না। আর সুনির্দিষ্ট ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পে চেকের মাধ্যমে তা দিতে হবে।

চিঠির শর্তানুযায়ী, বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ব্যয়ের সাত দিনের মধ্যে মিলভিত্তিক শ্রমিকদের তালিকাসহ বিস্তারিত বিবরণী অর্থ বিভাগে পাঠাতে হবে। বরাদ্দ দেওয়া অর্থ ব্যয়ে সরকারি বিধি মানতে বলা হয়েছে এবং এর ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবে বলেও সাবধান করা হয়েছে। বরাদ্দ দেওয়া অর্থ কেবল শ্রমিকদের বকেয়াসহ মজুরি এবং উৎসব ভাতা হিসেবে পরিশোধ করতে হবে।

এদিকে পাটকল শ্রমিকদের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে, তা ‘পরিচালন ঋণ’ হিসেবে গণ্য করা হবে বলে চিঠিতে জানানো হয়। আগামী ২০ বছরে ৫ শতাংশ সুদে প্রতি ছয় মাসের কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। আর এ জন্য অর্থ বিভাগের সঙ্গে বিজেএমসিকে একটি ঋণ চুক্তি করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

জানা যায়, লোকসানি প্রতিষ্ঠান বিজেএমসির ওপর আস্থার অভাবেই এই প্রতিষ্ঠানের কাছে শ্রমিকদের বেতন ও ভাতা দিতে ভরসা পায়নি সরকার। আর সে জন্য শ্রমিকদের মজুরির টাকা বিজেএমসির কাছে দেওয়া হচ্ছে না, সরকারি কোষাগার থেকে সরাসরি শ্রমিকদের নিজস্ব অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে বলে কিছুদিন আগে এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

এ বিষয়ে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, পাটকল শ্রমিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তালিকা তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য কয়েক দিন আগে বিজেএমসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তালিকা অবশ্যই যথাযথ সময়ের মধ্যে দিতে হবে যেন ঈদের আগেই শ্রমিকরা তাদের বকেয়া মজুরি হাতে পান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
– খবর: খোলা কাগজ-


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর