August 22, 2025, 1:27 am

পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ, নিহত ৪

Reporter Name 182 View
Update : Sunday, June 9, 2019

ভারত ডেস্ক | রবিবার, ৯ জুন ২০১৯:
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় বিজেপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত চার জন নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৮ জুন) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলার সন্দেশখালি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দলীয় পতাকা খোলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

সংঘর্ষের শুরুতে বিজেপি কর্মীরা কায়েম মোল্লা নামের ২৬ বছর বয়সী এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে বলে এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। নিহত কায়েম তাদের দলের সমর্থক বলে জানিয়েছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি ও রাজ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

এদিকে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর দাবি তৃণমূল কর্মীদের গুলিতে তাদের দলের পাঁচ কর্মী নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিন জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে ও বাকি দু’জনের মৃতদেহ পুলিশ সরিয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

নিহত বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সুজিত মণ্ডল, তপন মণ্ডল ও সুকান্ত মণ্ডলের লাশ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তাদের চার কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের মধ্যে শঙ্কর মণ্ডল ও দেবদাস মণ্ডল নামে দু’জন নিহত হয়েছেন, এমন খবর তারা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন বসু।

অপরদিকে তৃণমূল নেতা মল্লিক জানিয়েছেন, তাদের কর্মী কায়েম মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

আনন্দবাজার পত্রিকাকে তিনি জানান, বিজেপির হার্মাদরা তাকে মেরেছে। মাথায় গুলি করেছে। বিজেপি যদি মারার রাজনীতি শুরু করে আমরাও ছাড়বো না।

ভারতীয় গণমাধ্যমের সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় সন্দেশখালিতে তৃণমূলের বুথ কমিটির বৈঠক হচ্ছিল। যে পার্টি অফিসে এ বৈঠক হচ্ছিল সেখানে বিজেপির দলীয় পতাকা লাগানো ছিল। তৃণমূল কর্মীরা বিজেপির পতাকা খুলে তৃণমূলের পতাকা লাগানোর চেষ্টা করার সময় বিজেপি কর্মীরা বাধা দেয়।

এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসার সময় একটি গুলি এসে কায়েমের গায়ে লাগে বলে জানিয়েছেন মল্লিক। এর পরই দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বেধে যায়।

সংঘর্ষে চার জন নিহত হওয়ার পাশাপশি উভয় দলের বেশ কয়েক জন কর্মীও আহত হয়েছেন।

পরিস্থিতি জানাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি মুকুল রায়। সংঘর্ষের এ ঘটনার জন্য তিনি তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করেছেন।

সদ্য সমাপ্ত ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিম বঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপির তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। রাজ্যর ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টি নিজেদের অধিকারে নিয়েছে বিজেপি, অপরদিকে তৃণমূল পায় ২২টি আসন। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে রাজ্যের লোকসভা আসনগুলোর মধ্যে ৩৪টিতে জয় পেয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস, আর বিজেপি জিতেছিল মাত্র দুইটি আসনে।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর