এরশাদকে দেখে এলেন ওবায়দুল কাদের
						নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ১ জুলাই ২০১৯:
ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে দেখতে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সোমবার (১ জুলাই) সকাল ১০টায় মুহম্মদ এরশাদকে দেখতে যান তিনি।
এর আগে মুহম্মাদ এরশাদের ভাই ও জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের জানিয়েছেন, তাঁর (এরশাদ) শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। এরশাদের ফুসফুসের সংক্রমণ কিডনিতেও ছড়িয়েছে। এখন এরশাদকে অক্সিজেন সাপোর্ট দিয়ে রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। আমরা আশা করছি উনি সুস্থ হয়ে উঠবেন।
জাতীয় পার্টির উপ দফতর সম্পাদক এম এ রাজ্জাক খান জানান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সকালে সিএমএইচে গিয়ে বিরোধী দলীয় নেতা এরশাদকে দেখে আসেন।
জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের পাশাপাশি মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁও তখন হাসপাতালে ছিলেন।
এদিকে সোমবার সকাল থেকেই বারিধারায় এরশাদের প্রেসিডেন্ট পার্কের বাসভবনে চলছে কোরআন তেলাওয়াত।
৯০ বছর বয়সী এরশাদ রক্তে সংক্রমণ ছাড়াও লিভার জটিলতায় ভুগছেন। গত ২২ জুন সিএমএইচে ভর্তি করা হয় তাকে।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে এরশাদকে দেখে এসে তার স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির জ্যেষ্ঠ কো চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ বলেন, উন্নতি হচ্ছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের, এই ধারা অব্যাহত থাকলে দ্রুতই তিনি সেরে উঠবেন।
এরপর রবিবার (৩০ জুলাই) সন্ধ্যায় বনানীতে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে কাদের বলেন, শনিবার পর্যন্ত এরশাদের অবস্থার উন্নতি হচ্ছিল। রবিবার সকালে তার অবস্থা খারাপ হয়।
এর আগে রাতে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এরশারে মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে কাদের তা নাকচ করেন।
রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফেইসবুকে তিনি বলেন, ‘তার অবস্থা অপরিবর্তিত আছে। তিনি এখনও অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন।’
বাংলাদেশের সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ বেশ কয়েক মাস ধরেই অসুস্থ। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তখন তার রক্তে হিমোগ্লোবিন ঘাটতির কথা জানান চিকিৎসকরা। পরে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসেন এরশাদ। তাতেও পুরোপুরি সেরে ওঠেননি তিনি।


												                                            





										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										
										