August 5, 2025, 8:40 am

এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো, নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

Reporter Name 173 View
Update : Thursday, July 25, 2019

নিউজ ডেস্ক | বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০১৯:
ডেঙ্গুর জীবানুবাহী এডিস মশার প্রজনন ক্ষমতা রোহিঙ্গাদের মতো, এ কারণে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশে ডেঙ্গু হঠাৎ করেই বেশি হওয়ার কারণ এডিস মশা বেশি বেড়ে গেছে। এই মশাগুলো অনেক হেলদি ও সফিস্টিকেটেড, তারা বাসাবাড়িতে বেশি থাকে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে ডেঙ্গু নিয়ে আয়োজিত বৈজ্ঞানিক সেমিনারে এমন মন্তব্য করেন। ‘ডেঙ্গু: চেঞ্জিং ট্রেন্ডস অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক এক বৈজ্ঞানিক সেমিনারের আয়োজন করে সোসাইটি অব মেডিসিন এবং ঢামেক মেডিসিন বিভাগ।

সভায় একজন বক্তা হঠাৎ করে ডেঙ্গু রোগী বেড়ে যাওয়ার কারণ বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। তখন মন্ত্রী তার জবাবে বলেন, এডিস মশার প্রডাকশন অনেক বেশি। যেভাবে রোহিঙ্গা পপুলেশন আমাদের দেশে এসে বেড়েছে, সেভাবেই এই মসকিউটো পপুলেশনও বেড়েছে। আমরা তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।

তবে মশা নিধন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ না, এটি সিটি করপোরেশনের কাজ বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ কাজে সিটি করপোরেশনকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, আমরা রোগীদের সেবা দিতে পারি, সচেতন করতে পারি। একটা রোগীও চিকিৎসার বাইরে নেই। কেউ বিনা চিকিৎসায় ফেরত যান নাই। সবাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কীভাবে ডেঙ্গু রোগীদের হ্যান্ডেল করতে হবে, তা যদি না হতো তাহলে ৮টা মৃত্যু হতোনা, আরও বেশি হতো, শত শত মারা যেতো।

মন্ত্রী ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হোক এমন সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের জানতে হবে, দেশে প্রতিদিন সড়ক দুর্ঘটনায় ১৫-২০ জন মারা যায়, সাপের কামড়ে মারা যায় ১০ জন, হার্ট অ্যাটাকে মারা যায় শত শত লোক। সে সব খবর আমরা রাখি না। কিন্তু গত কয়েক মাসে ডেঙ্গুতে মারা গেছে মাত্র ৮ জন। তাই আমরা চাই না এ নিয়ে কোনও আতঙ্ক সৃষ্টি হোক। ডোন্ট পাব্লিশড এনিথিং হুইচ ক্যান ক্রিয়েট প্যানিক, ইট ইজ ফুল্লি আন্ডার কন্ট্রোল। তাই আতঙ্ক সৃষ্টি করা যাবে না।

জাহিদ মালেক দাবি করেন, বাংলাদেশে যেভাবে ডেঙ্গু ম্যানেজ করা হয়েছে, সেভাবে অনেক উন্নত দেশও হ্যান্ডেল করতে পারছে না। এসব সম্ভব হয়েছে চিকিৎসক, নার্সসহ সবার প্রচেষ্টায়।

সেমিনারা আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন ও অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. খান আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর