July 30, 2025, 6:12 pm

নরসিংদীতে সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ১

Reporter Name 155 View
Update : Monday, August 6, 2018

নিজস্ব প্রতিবেদক, সোমাবার, ৬ আগস্ট ২০১৮ : নরসিংদীর সদরে একটি নির্মাণাধীন বাড়ির একটি সেপটিক ট্যাংকে কাজ করতে গিয়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়েছেন আরও একজন। সোমবার (৬ আগস্ট) বিকাল পৌনে চার দিকে শহরের বিলাসদি ব্যাংক কলোনী এলাকায় এঘটনা ঘটে। নিহতরা হলো-ঠিকাদার সিরাজ (৩৫), শ্রমীক রমিজ (১৭) ও রাকিব (২২)। এদের মধ্যে একজনের বাড়ি নেত্রকোণা বলে জানা গেলেও বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ও দমকল বাহীনি সূত্রে, শহরের বিলাসদি ব্যাংক কলোনী এলাকায় নতুন একটি বাড়ী নির্মানের কাজ চলছিল। গত কয়েকদিন আগে সেপটি ট্যাঙ্কের ছাদের ডালাই দেয়া হয়। সোমবার দুপুরে ট্যাঙ্কির ভেতরে কাঠ ও বাশ খুলার জন্য রমিজ নামে এক শ্রমীক ভেতরে প্রবেশ করে। বেশ কিছুক্ষন হয়ে গেলেও তার কোন সারা শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলনা। পরে রাকিব নামে আরো এক শ্রমীককে পাঠানো হয়। যাওয়ার পর তারও কোন শব্দ নেই। সর্বশেষ বাড়ির ঠিকাদার শিরাজ সেখানে যায়। তিন জনের কারোই কোন সারা শব্দ পাওয়া যাচ্ছিলনা। পরে আরো এক শ্রমীক ভেতরে মাথা দিয়ে দেখতে গেলে সে অসুস্থ হয়ে যায়। পরে দমকল বাহিনিকে খবর দেয়া হয়। কিন্তু ট্যাঙ্কর সরু মুখ ও অন্ধকারের কারনে ভেতরে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা যাচ্ছিলনা। পরে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট যৌথ ভাবে ট্যাঙ্কের ছাদ ভেঙ্গে তিনজনকে বের করে নিয়ে আসে। গুররুত্বর আহত অবস্থায় তাদের নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেয়া হলে কত্যর্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। তবে তিন শ্রমীক নিহত হলেও বাড়ীর মালিককে খুজে পাওয়া যায়নি।

নরসিংদী ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর উপ সহকারী পরিচালক মোঃ শফিকুর ইসলাম নরসিংদী প্রতিদিনকে বলেন,ধারনা করা হচ্ছে নির্মানাধীন বন্ধ ট্যাঙ্কিটিতে প্রচন্ড মিথেনাইল গ্যাস হয়ে গিয়েছিল। তাই তারা ভেতরে ডুকার সাথে সাথেই অজ্ঞান হয়ে যায়।
হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা আরএমও ডা. এম এন মিজানুর রহমান নরসিংদী প্রতিদিনকে বলেন, হাসপাতালে আনার পর তাদের তিনজনকেই মৃত হিসেবে পাওয়া যায়। ধারনা করা হচ্ছে অক্সিজেনের অভাব ও বিশাক্ত গ্যাসের কারনেই তাদের মৃত্যু হয়েছে।

নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান নরসিংদী প্রতিদিনকে জানান, নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের নিচতলায় গ্রাউন্ডফ্লোরের ট্যাংকে কাজ করার সময় দুই শ্রমিক আটকে পড়ে। এ সময় তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে আরো এক শ্রমিক আটকা পড়ে। পরে ওই তিন শ্রমিকের কোনো সাড়া না পেয়ে কামাল মিয়া সবাইকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টার পর ওই তিনি আটকাপড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করে হাসপালে নিয়ে গেলে কত্যর্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষনা করেন। তাদের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।


More News Of This Category
এক ক্লিকে বিভাগের খবর